মিশরীয় মিথলজি-আদি থেকে অন্ত

Image
-
পৃষ্ঠা – ৭৫২
মুদ্রিত মূল্য – ২০০০.০০ টাকা
প্রকাশনী – জাগৃতি প্রকাশনী

ফ্ল্যাপ:

প্রাচীন মিশর ছিল প্রাচীন বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সভ্যতা। বর্তমান যুগে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা অবশ্য এ ধারণার সাথে একমত নন। যারা সুমেরিয়া নিয়ে অধ্যায়ন করেন, উদাহরণস্বরূপ, স্যামুয়েল নোয়া ক্রামার (Samuel Noah Kramer), সুমেরীয় বিষয়ে একজন মহান বিদ্বান ব্যক্তি ছিলেন এবং History Begins at Sumer- নামে একটি বই লিখেছিলেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন- সুমেরিয়াতেই সবকিছু প্রথম শুরু হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভুল ছিলেন, ইতিহাস সুমেরিয়া থেকে শুরু হয়নি, এটি সত্যি সত্যি মিশর থেকেই শুরু হয়েছিল।

কিন্তু মিশরীয় সভ্যতা বা সংস্কৃতি প্রাচীন বিশ্বের এতগুলো সভ্যতা বা সংস্কৃতির মধ্যে এত বিশেষ কিছু কেন?

মিশরে অনেক ‘প্রথম’ আছে, যা আমরা সবাই জানি, এবং এটিই মিশরকে অন্যান্য সভ্যতা থেকে ‘অনন্য’ করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, আবারো সুমেরিয়ানদের কথা বলতে পারি। সুমেরীয়রা মিশরীয়দের পিরামিড নির্মাণ করেননি। সুমেরীয়রা মিশরীয়দের মত অবিশ্বাস্য সব মন্দির তৈরী করেননি। সুমেরীয়রা মিশরীয়দের মত চিকিৎসা বিদ্যা জানতো না। আবার যদি ধর্মের কথাই চিন্তা করি, বেশিরভাগ মানুষই এটি শুনে অবাক হবেন যে, বিশ্বের প্রথম ‘একেশ্বরবাদ’ – এক দেবতার প্রতি বিশ্বাস- এ ধারণা প্রথম একজন মিশরীয় ফারাও দ্বারাই উপস্থাপিত হয়েছিল। মিশরেই প্রথম একেশ্বরবাদ শুরু হয়েছিল, যেভাবে মিশরেই প্রথম শুরু হয়েছিল ‘মমিকরণ প্রক্রিয়া’। মিশরীয়রা মমিকরণ পদ্ধতিকে বিজ্ঞানসম্মত করেছিলেন।

অথবা আমরা মিশরের পৌরানিক কাহিনীর কথাও বলতে পারি। কোনো পৌরাণিক কাহিনীই মিশরের মত এত সমৃদ্ধ নয়। মিশর অবিশ্বাস্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, গ্রিক- বিখ্যাত গ্রিক সভ্যতা- তারাও প্রাচীন মিশরকে শ্রদ্ধা করতেন। আমরা যদি গ্রিক ঐতিহাসিকদের লেখা খুব ভালোভাবে পড়ি, তাহলে দেখা যাবে, তারা সবাই প্রায় একই কথা বলেছেন, ‘আমরা মিশর থেকে আমাদের সভ্যতা পেয়েছি’।

শত শত বছর ধরে চলছে মিশর নিয়ে গবেষণা, তারপরেও রহস্য উদঘাটনের অপেক্ষায় থেকে যাচ্ছে অনেক মিথ। এই বইটিতে মিশর নিয়ে এ পর্যন্ত যা যা জানা গিয়েছে এবং যা যা জানা যায়নি অর্থাৎ যে সব রহস্যের এখনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি সব কিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক।

এস এম নিয়াজ মাওলা সম্পর্কে

এস এম নিয়াজ মাওলা। পেশায় একজন চিকিৎসক আর নেশায় একজন নবীন কথা সাহিত্যিক। পেশাগত জীবনটাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেয়। এই পেশাগত জীবনের টানেই ছোটবেলা থেকে এত পড়াশুনা করে, এত এত ডিগ্রী নিয়ে একটা পর্যায়ে এসে মানুষ থিতু হয়। ক্যারিয়ার চলতে থাকে আপন গতিতে। সময়টাও চলতে থাকে নিজের মতো করে। ব্যাপারটায় কেমন একটা বাধ্যবাধকতার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই না? পেশাগত জীবনটাকে চাবি দিয়ে ঠিকঠাক না রাখলে পুরো জীবনটাই তছনছ হবার পথে চলে যায়। অথচ এই জীবনটাকে ঠিক রাখতে মনের খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়! নিয়াজ ভাইয়ের এই মনের খোরাক হচ্ছে লেখালেখি!