ফ্ল্যাপের লেখা
অন্ধকারে ঢাকা এক শহর। এক অজানা যাত্রার শুরু। মস্তিষ্কের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক দুষ্ট স্নায়ুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছেন তিনি। কিন্তু এই যাত্রা কেবল একটি অপারেশনের গল্প নয়—এটি এক গভীর রহস্যের উন্মোচন।
কেন তিনি এই পথে পা বাড়ালেন? কী এমন ঘটেছিল, যা তাঁকে বাধ্য করল নিজের জীবন এবং ভবিষ্যৎকে বাজি রাখতে? হাসপাতালের শীতল করিডোর থেকে দিল্লির ব্যস্ত রাস্তাগুলো পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক নতুন চ্যালেঞ্জের জন্ম দেয়।
"ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে" এমন একটি কাহিনি, যেখানে প্রতিটি বাঁকে লুকিয়ে আছে নতুন আবিষ্কার, নতুন প্রশ্ন। বন্ধুত্বের শক্তি, পরিবারের অটুট বন্ধন, আর জীবনের প্রতি অদম্য আকর্ষণ—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক অনন্য দলিল।
কিন্তু এই গল্প কি শুধুই আনন্দ আর মানবিকতার? নাকি এর গভীরে লুকিয়ে আছে এমন কিছু, যা পাঠককে বাধ্য করবে বারবার ভাবতে? প্রতিটি পৃষ্ঠা আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এক অজানা জগতে, যেখানে ব্যথা আর আনন্দ হাত ধরাধরি করে চলে।
আপনি কি প্রস্তুত এই রহস্যময় যাত্রায় অংশ নিতে? "ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে" শুধু একটি ভ্রমণ কাহিনি নয়; এটি একটি থ্রিলার, যা পাঠকের হৃদয়ে দোলা দেবে এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে।

S M Niaz Mowla সম্ভবত লেখকজীবনের সেরা লেখাটা লিখে ফেলেছেন।
স্টেটমেন্ট হিসেবে কঠিন হলেও ব্যাখ্যাটা সহজ। অসুখের দিনগুলির অসহায়ত্ব আর মৃত্যুভয়কে কেন্দ্র করে যে শব্দগুচ্ছের জন্ম, তাতে যে নিখাঁদ আবেগময় অনুভূতি ফুটে ওঠে, তার চেয়ে শক্তিশালী সাহিত্য আদৌ কি সম্ভব?
জীবন কখনো কখনো এমনসব চ্যালেঞ্জ সামনে এনে দাঁড় করায়, যার জন্য কেউ প্রস্তুত থাকে না। বিশেষ করে, হঠাৎ এক ভয়ংকর স্নায়ুরোগ যখন জীবনের ছন্দ বদলে দেয়, তখন তা মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এস এম নিয়াজ মাওলার "ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে" ঠিক তেমনই এক জীবনযুদ্ধের দলিল। তবে অসুস্থতার গল্পকেও ছাপিয়ে এ এক সাহসী যাত্রার উপাখ্যান, যেখানে লেখক ব্যথার গভীর থেকে আনন্দের সন্ধান করেছেন, জীবনকে নতুন করে বুঝতে চেয়েছেন।
নিছক স্মৃতিচারণ বললে অবশ্য বইটির প্রতি অবিচার করা হয়। ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে একই সঙ্গে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার সমাহার। তাতে মিশে আছে ভ্রমণের রোমাঞ্চ, স্বাস্থ্য পর্যটনের নতুন দিগন্ত, ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাওয়া, মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আর ভালোবাসার অমৃত রস। সাহিত্যের গভীরতা আর ভাষার শৈল্পিক ব্যবহারে লেখক এটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, পাঠক যেন এক ফিকশন উপন্যাসের স্বাদ পায়। গল্পের বাঁকে বাঁকে কল্পনার মিশ্রণ নেই, কিন্তু লেখকের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি ও বর্ণনার মুন্সিয়ানায় তা হয়ে উঠেছে সাহিত্যিক এক অভিজ্ঞতা।
লেখকের কলমে এর আগে মিথলজির তাত্ত্বিক বয়ান পড়েছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে শুরুর দিকের বেশ কিছু ছোট গল্প পড়ারও। তবে ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে পড়তে গিয়ে নতুন করে যে নিয়াজ মাওলাকে আবিষ্কার করলাম, তা বোধ করি কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের মতোই বিস্ময়কর! এই বইয়ে তিনি নিজেকেই নতুনভাবে সৃষ্টি করেছেন।
শুরুতেই ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া নামক ব্যধির বর্ণণায় লেখককে একজন রোগতত্ত্ববিদ বলে মনে হতে পারে, যিনি সহজ সাবলীল ভাষায় শিক্ষার্থীদেরকে গল্পের ছলে জটিল সব বিষয়ে জ্ঞান দিতে সক্ষম:
"এই রোগটাকে "টিক ডৌলোরেক্স” বলে ডাকা হয়। শুনে কি মনে হচ্ছে না। এটা কোনো ফরাসি রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডের নাম? "স্যার, আজ আপনার জন্য স্পেশাল ডিশ-টিক ডৌলোরেক্স আলা ক্রিম!" কিন্তু হায়রে হায়, এটা আসলে এমন এক দুষ্টু রোগ যা আপনার মুখে এমন ব্যথা দেয় যে আপনি হাসতে গিয়েও কাঁদবেন, আর কাঁদতে গিয়েও হাসবেন!
মজার ব্যাপার হলো, এই রোগটা হয়, যখন আপনার মুখের একটা বড়ো স্নায়ু (ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু) হঠাৎ করে বেয়াড়া আচরণ করা শুরু করে। মনে করুন, আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসা এই স্নায়ুটা একদিন ঠিক করল যে সে আর ভালো ছেলের মতো কাজ করবে না। কিন্তু কখন সে এই সিদ্ধান্ত নেয়? যখন হয়তো একটা রক্তনালী এসে এই স্নায়ুকে টিপে ধরে, “এই যে মিস্টার স্নায়ু, তোমাকে একটু আদর করে দেই!” অথবা হয়তো স্নায়ুর গায়ের জামাটা (মায়েলিন শিথ) ছিঁড়ে গেল, "আমি আর এই পুরোনো ফ্যাশনের জামা পরব না!” ব্যস, তখন থেকেই শুরু হয় এই যন্ত্রণার মহাভারত!"
কয়েক পাতা উল্টোতেই আবার দেখা যায়, হেলথ ট্যুরিজম কিংবা কাঠখোট্টা স্ট্যাটিস্টিকসের হিসাব দিয়ে যাচ্ছেন লেখক, অথচ পড়তে চমৎকার লাগছে। এই অংশে তিনি পুরোদস্তুর গবেষক, দক্ষ প্রাবন্ধিক:
"হেলথ ট্যুরিজমের জগতটা যেন একটি রঙিন উৎসব। আপনি যদি ভাবেন যে এটি শুধু ডাক্তার দেখানোর জন্য, তাহলে আপনি ভুলের মহাসাগরে ডুবে যাচ্ছেন। এখানে রয়েছে চিকিৎসা পর্যটন, যেখানে জটিল অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া হয়। কার্ডিওলজি থেকে শুরু করে অঙ্গ প্রতিস্থাপন পর্যন্ত সবকিছুই এখানে অন্তর্ভুক্ত। আবার দন্ত পর্যটনও আছে, যেখানে দাঁতের চিকিৎসার জন্য বিদেশে ভ্রমণ করা হয়। দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নতুন বন্ধু বানানোর সুযোগ তো থাকেই-একই সঙ্গে নতুন হাসি আর নতুন বন্ধুত্ব! প্রজনন পর্যটন, যেখানে গর্ভধারণের জন্য বিশেষ চিকিৎসা নেওয়া হয়-নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে নতুন দেশে যাত্রা। কসমেটিক সার্জারি, যেখানে সৌন্দর্যবর্ধক অস্ত্রোপচারের জন্য ভ্রমণ করা হয়। একটু নতুন লুক পেতে কে না চায়? নতুন দেশে গিয়ে নতুন চেহারা নিয়ে ফেরা-এর চেয়ে রোমাঞ্চকর কী হতে পারে? ওয়েলনেস পর্যটন, যেখানে স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং সুস্থতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন স্পা এবং যোগব্যায়ামের সুবিধা নেওয়া হয়-মন-শরীর-আত্মার ত্রিবেণি সঙ্গমে অবগাহণ। বাংলাদেশ থেকে হেলথ ট্যুরিজমের গন্তব্য হিসেবে ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম। প্রতিবছর প্রায় পঁচিশ লাখ বাংলাদেশি রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। থাইল্যান্ড বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা পর্যটনের একটি প্রধান গন্তব্য-স্বাস্থ্য আর আনন্দের অপূর্ব মিলনভূমি। ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে ছয় লাখ বত্রিশ হাজার রোগী চিকিৎসা পর্যটনে গিয়েছিল।"
পুরোদস্তুর ভ্রমণকাহিনী পড়ার অভিজ্ঞতা মিলবে এই বইয়ের পাতায়। দিল্লির পথে যাত্রা, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা, কুতুব মিনার ভ্রমণ, চাঁদনি চকের জগত, পশমিনা শালের গল্প। মনে হবে নিজের চোখে সবকিছু দেখার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সেই সাথে জানা যাবে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় নানা ইতিহাস; আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে লেখক যা বর্ণণা করে গেছেন গল্পের ছলে। জামে মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনাশৈলীর ইতিহাস যা সম্পর্কে জেনে বিস্মিত হবেন; কিংবা মার্কস এন্ড স্পেন্সার থেকে শুরু করে স্টারবাকস- যার শুরুর কথা হয়তো আপনি জানতে চাননি, অথচ জেনে মুগ্ধ হয়ে গেছেন!
কখনও অতি পরিচিত সুস্বাদু খাবারের বর্ণণায় জিবে আসবে জল:
"হঠাৎ করেই আমাদের টেবিলে এসে হাজির হলো প্রত্যাশিত খাবার। আলু পরোটা দেখে মনে হলো যেন সোনালি রোদের একখণ্ড টুকরো পাতে এসে বসেছে। তার অন্তরালে লুকানো নরম আলুর পুর ইশারা করছিল রসনার উৎসবের। প্রথম কামড়েই জিভে নেচে উঠল মসলার ঝাঁঝালো সুরভি। আলুর কোমল মিষ্টতার সঙ্গে মিশে গেল পেঁয়াজের তীক্ষ্ণতা, রসুনের গন্ধ, আদার ঝাঁজ আর কাঁচা লঙ্কার দাবানল। এহসানের ডিম পরোটাও ছিল অপ্রতিরোধ্য। সোনালি আবরণের নিচে লুকিয়ে থাকা ডিমের পুর, তার সঙ্গে নৃত্যরত সূক্ষ্ম কুচি করা পেঁয়াজ, সতেজ সবুজ লঙ্কা আর সুরভিত ধনেপাতা। প্রতিটি কামড়ে যেন নতুন স্বাদের উন্মোচন, একটি অনাবিষ্কৃত দ্বীপের আবিষ্কার। ওষ্ঠে লেগে থাকা সামান্য তৈলাক্ততা যেন মৃদু স্বরে গুঞ্জন করে উঠল-এই তো সেই প্রকৃত পথের খাদ্যের স্বাদ, দিল্লির প্রাণের স্পন্দন।"
ভ্রমণকাহিনীর ভরপুর রস আস্বাদন করতে করতে আবার হঠাৎ পাতা উল্টাতে গিয়ে খেয়াল হবে, আনন্দের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লেখক। ভ্রমণ অভিজ্ঞতার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে বিষণ্ণতা কিংবা অসহায়ত্বের রূপ, ব্যধিমুক্তির তীব্র আঁকুতি। ছুরি কাচির আগে নিজেকে বিসর্জন দেয়ার আগে চোখ বন্ধ করার সেই অনিশ্চিত মুহূর্ত; আবার আধো ঘুম আধো জাগরণে চেতনাকে আবিষ্কার করার অনুভূতি পাঠক অনুভব করবে পুরোদস্তর। আয়েশা নামের মেয়েটাকে নিজের মৃত মায়ের একবার চোখ খোলার অপেক্ষায় আকুল হতে দেখে শিউরে উঠবে। নিজের অজান্তেই চোখের কোণ ভিজে যাবে বারবার:
"সন্ধ্যার বিষণ্ণ আলো যখন হাসপাতালের করিডোর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা ঘিরে রেখেছিল পুরো পরিবেশ। হাসপাতালের করিডোরে হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছিল, যেন সান্ত্বনা দিতে চাইছে ভেঙে পড়া মানুষগুলোকে। দূরে কোথাও মনিটরের একঘেয়ে 'বিপ-বিপ' শব্দ শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু তার মাঝেও ভেসে আসছিল এক করুণ আর্তনাদ- আয়েশার কান্না।
আমি সেই কান্নার শব্দ শুনে থমকে দাঁড়ালাম। করিডোরের শেষ প্রান্তে ছোট্ট একটি ঘরে বসে আয়েশা তার মায়ের হাত ধরে কাঁদছিল। তার চোখে অসংখ্য জলের ধারা, তার মুখে হতাশার ছাপ। সেই কান্না যেন কেবল তার মায়ের জন্য নয়, বরং তার নিজের ভেতরেও একটি শূন্যতার সৃষ্টি করছিল।
ডাক্তাররা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের মুখে গভীর বিষন্নতা। একজন ডাক্তার ধীরে ধীরে বললেন, "আয়েশা, আপনার মায়ের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, তিনি ব্রেইন ডেড।"
এই কথাগুলো যেন আয়েশার সমস্ত জগতকে থামিয়ে দিল। তার মুখ থেকে একটা অস্ফুট আর্তনাদ বের হলো। সে যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না। যে মানুষটি ছিল তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু, তার আশ্রয়, সেই মানুষটি আর কখনও তার কাছে ফিরবেন না।
ডাক্তার আরও বললেন, "আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন তিনি আর কখনও জ্ঞান ফিরে পাবেন না। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়া তার শরীর আর কাজ করবে না।"
এই কথাগুলো আয়েশাকে আরও গভীর বিষাদের মধ্যে ডুবিয়ে দিল। সে ভেঙে পড়ল, মাটিতে বসে পড়ল। তার মুখে কোনো কথা ছিল না, শুধু অঝোরে অশ্রু ঝরছিল তার। মনে হচ্ছিল, তার ভেতরটা যেন ধীরে ধীরে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
আমি দূর থেকে দেখছিলাম। আমার চোখের সামনে এই দৃশ্য আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিল। মনে পড়ল নিজের মায়ের কথা। কত সহজেই আমরা ভুলে যাই, আমাদের প্রিয়জনরা চিরকাল থাকবে না। প্রতিদিনের ব্যস্ততায় তাদের সাথে কাটানো মূল্যবান সময়গুলোকে আমরা হারিয়ে ফেলি।
আয়েশার মুখে তখন হাজারো স্মৃতির ছায়া। হয়তো মনে পড়ছিল ছোটোবেলার কথা, যখন তার মা তাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন। সেই রাতগুলোর কথা, যখন সে জ্বরে কাতরাচ্ছিল, আর তার মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াতেন..."
আলাপ দীর্ঘ হচ্ছে। শেষ করার আগে বলে ফেলি, এই বই শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা নয়; বরং একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক লড়াই, জীবনকে নতুন করে চিনতে পারার অনুভূতি, এবং কঠিন বাস্তবতাকে গ্রহণ করার দৃষ্টিভঙ্গির চমৎকার রূপায়ণ। অসুস্থতার মুহূর্তেও কীভাবে জীবনকে ভালোবাসতে হয়, আশেপাশের সম্পর্কগুলোর নতুন ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়—সেই গল্পই বলা হয়েছে এতে। "ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে" শুধু একজন মানুষের সংগ্রামের গল্প নয়, এটি জীবনের প্রতি এক গভীর দায়বদ্ধতার প্রতিচিত্র। যে কোনো পাঠক এখানে খুঁজে পাবেন অনুপ্রেরণা, পাবেন সাহস, এবং অনুভব করবেন জীবন বয়ে নেওয়ার অনিবার্য শক্তি।
ব্যথার রাজ্যে আনন্দের খোঁজে
লেখক : এস এম নিয়াজ মাওলা
প্রচ্ছদ : শানারেই দেবী শানু, নামলিপি : রিয়াজুল ইসলাম
প্রকাশনী : বিবলিওফাইল প্রকাশনী (২০২৫)
মূল্য: ৩০০ টাকা (মূদ্রিত: ৪০০ টাকা)