পুরাণের সমান্তরালে

Image
-
পৃষ্ঠা- ২৭২
মুদ্রিত মূল্য – ৬০০.০০ টাকা
প্রকাশনী – আজব প্রকাশ

ফ্ল্যাপের লেখা

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল অনেক আগে, যখন পরিভদ্র 'কোডেক্স কুয়েটজালকোয়াটল' তাঁর হাতে পেয়েছিলেন। অ্যাজটেকদের সৃষ্টিতত্ত্বের দেবতা নিজে এই কোডেক্স লিখেছিলেন। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর পৃথিবীর মানুষেরা এসব কথা জানুক। অথচ এই কোডেক্সটি অভিশপ্ত! যে দু’জন ব্যক্তি এটি প্রকাশের চেষ্টা করেছিলেন, দু’জনই মারা গেলেন; এমনকি পরিভদ্রও।

কী ছিল এই কোডেক্সে? কুয়েটজালকোয়াটলের সাথে কীভাবে গ্রিক পুরাণের অবিসংবাদিত চরিত্র প্রমিথিউসের দেখা হয়েছিল? জিউস কি সত্যিই চেয়েছিলেন ট্রয়ের যুদ্ধে গ্রিক বাহিনী জয়লাভ করুক? নাকি এই যুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল সেই ‘কেউ একজন'-এর ইশারায়, ব্রহ্মা যার কথা জিউস, প্রমিথিউস এবং কুয়েটজালকোয়াটলকে বলেছিলেন?

সেই ‘কেউ একজন’ কে? ব্রহ্মা কি তাঁকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছিলেন? কোডেক্স কুয়েটজালকোয়াটলের শেষ অংশের অনুবাদ পরিভদ্র কেন নিয়াজকে দেননি? গাছের বাঁকলে রহস্যময় ভাষায় কী লেখা ছিল? কেন নিয়াজকে সব রহস্যের সমাধানের জন্য মেক্সিকো যেতে হবে?

সবকিছু মিলিয়ে ‘পুরাণের সমান্তরালে’ হচ্ছে তিনটি বিখ্যাত পুরাণকে একসাথে মিশিয়ে জানা গল্পকে নতুন করে সাজিয়ে সেই ‘কেউ একজন’-কে খোঁজার এক ঐকান্তিক প্রয়াস।

এস এম নিয়াজ মাওলা সম্পর্কে

এস এম নিয়াজ মাওলা। পেশায় একজন চিকিৎসক আর নেশায় একজন নবীন কথা সাহিত্যিক। পেশাগত জীবনটাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেয়। এই পেশাগত জীবনের টানেই ছোটবেলা থেকে এত পড়াশুনা করে, এত এত ডিগ্রী নিয়ে একটা পর্যায়ে এসে মানুষ থিতু হয়। ক্যারিয়ার চলতে থাকে আপন গতিতে। সময়টাও চলতে থাকে নিজের মতো করে। ব্যাপারটায় কেমন একটা বাধ্যবাধকতার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই না? পেশাগত জীবনটাকে চাবি দিয়ে ঠিকঠাক না রাখলে পুরো জীবনটাই তছনছ হবার পথে চলে যায়। অথচ এই জীবনটাকে ঠিক রাখতে মনের খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়! নিয়াজ ভাইয়ের এই মনের খোরাক হচ্ছে লেখালেখি!