
-
পৃষ্ঠা – ৮৪২
মুদ্রিত মূল্য – ৩৫০০.০০ টাকা
প্রকাশনী – জাগৃতি প্রকাশনী
ফ্ল্যাপ:
মিথ বলতে বোঝায় রূপকথা, উপকথা, অতিকথা, কিংবদন্তি, অবাস্তব কল্পকাহিনি, ছেলেভুলানো গল্প, পৌরাণিক কাহিনি যাতে কোনো গূঢ় রহস্যের ব্যাখ্যা থাকে। প্রত্যেক জাতির, প্রধানত ইতিহাসের আদিপর্বে মানুষের দ্বারাই লোকজীবনে এগুলো গড়ে ওঠে এবং নতুন মিথ সৃষ্টি হয় এবং কালে কালে পরিমার্জিত ও বিকশিত হয়। প্রকারান্তরে এগুলোতে থাকে মানুষের জীবন ও পরিবেশ সম্পর্কিত নানা কথা। অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক প্রতিটি মিথ। মানুষের সভ্যতায় নানা ভাবে নানা দেশে বিকশিত হয়েছে মিথ। সভ্যতার মধ্যেই কিছু বিষয় আছে যেগুলো মর্মগত দিক দিয়ে প্রায় একরকম। কোনো জাতির লোকজীবনের এই বিষয়গুলোকে একত্রে বলা হয় মিথলজি। গোটা পৃথিবীতে সভ্যতার ধারায় গ্রিস ও রোম চতুর্দশ শতাব্দী থেকেই অগ্রসর চিন্তা-চেতনার পরিচয় দিয়ে আসছে। তখন ইতালিতে রেনেসাঁসের সূচনা হয় এবং তা ক্রমে ইউরোপের জাতিগুলোর মধ্যে এবং অন্যসব জাতির মধ্যেও বিস্তার লাভ করে। গ্রেকো-রোমান-ইউরো-আমেরিকান সভ্যতাকে বলা হয় চিন্তার ও জ্ঞানবিজ্ঞানের ধারায় অগ্রযাত্রী। এ গ্রন্থে এস এম নিয়াজ মাওলা গ্রিক মিথলজির সব বিষয় অত্যন্ত আকর্ষণীয় রূপে বর্ণনা করেছেন। বাংলা ভাষার পাঠক এ গ্রন্থ পাঠ করে আনন্দিত ও উপকৃত হবেন।
আবুল কাসেম ফজলুল হক
চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমি
খুব কম মানুষই আছেন পৃথিবীতে, ছোটবেলায় রূপকথার আড়ালে যারা প্রাচীন মিথলজির গল্প শোনেন নি। ইকারিয়াসের পাখা, আফ্রোদিতির প্রেম, জিউস কিংবা তার ছেলে হেরাক্লেস, বীর হেক্টর কিংবা একচোখা সাইক্লোপ, আমাদের ছোটবেলার একটা গল্পের মাঝেই কিন্তু ঘুরে বেড়াতো এরাই। মিথলজির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বহু বছর আগে থেকেই। আর সেইসব মিথলজির ভীড়ে অনন্য হয়ে রয়েছে গ্রীক মিথোলজি, যার সূচনাও আসলে চমকপ্রদ একটা ব্যাপার।
প্রাচীন গ্রীক অধিবাসীরা চেষ্টা করতো জগতের সমস্ত ঘটনার এক একটা ব্যাখ্যা দাড় করাতে। আর সেই সীমিত বুদ্ধির অসীম কল্পনাই একে একে সৃষ্টি করেছে অসংখ্য গল্পের। ক্যায়োস থেকে বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের উৎপত্তি, আর তা থেকে পৃথিবী। যাকে ঘিরে অগুনতি দেবতা, অপদেবতা আর দানব মিলে সৃষ্টি হয়েছে সেইসব গল্প-গাঁথা। যেই গল্পের মহাসাগরে ডুব দিলে একটা সময় পাঠক নিজে থেকেই আবিষ্কার করবে যে দেবতা মানেই ‘দেবতা’ নয়, দেবতারও চরিত্রে মিশে আছে শঠতা, লোভ, হিংসা কিংবা প্রতিশোধের স্পৃহা। গ্রিক মিথলজি এমনই এক অনির্বান গল্পের স্রোত যেখানে দেবতা আর মানুষ যেন আয়নারই এপার ওপার। বাংলা ভাষায় গ্রিক মিথলজির বেশ কিছু অনুবাদ থাকার পরও এবারই প্রথম সম্ভবত কেউ সাহস করলো সেই বিশাল গ্রিক গাঁথাগুলোকে মলাটবন্দী করে এক ফ্রেমে আনার। আদি থেকে অন্ত হোক কিংবা সৃষ্টি থেকে ধ্বংস গ্রিক মিথলজির এই ভাবান্তর আপনাকে আটকে রাখবে এক অদ্ভুত মায়াজালে, যেনবা সেই কিন্নরি সাইরেনের মতোই...