অ্যাজটেক মিথলজি-আদি থেকে অন্ত

Image
-
পৃষ্ঠা – ৬৮০
মুদ্রিত মূল্য – ৩০০০.০০ টাকা
প্রকাশনী – জাগৃতি প্রকাশনী

ফ্ল্যাপ:

মক্টেজুমা যখন প্রত্যেকের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছিলেন, কর্টেস তখন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি মক্টেজুমা? তুমি কি রাজা? এটা কি সত্য যে, তুমিই রাজা মক্টেজুমা?’

এবং রাজা বললেন, ‘হ্যাঁ, আমিই মক্টেজুমা’। তারপর কর্টেসকে স্বাগত জানাতে উঠে দাঁড়ালেন, সামনের দিকে এগিয়ে আসলেন এবং মাথা নীচু করে কর্টেসকে সম্বোধন করে বললেন:

“আমাদের প্রভু, আপনি ক্লান্ত! ভ্রমণ আপনাকে ক্লান্ত করেছে, কিন্তু আপনি এখন পৃথিবীতে এসেছেন। আপনি আপনার শহর টেনোচটিটলানে এসেছেন। এখানে আপনার সিংহাসনে বসতে, এর ছাউনির নীচে বসতে।

যে রাজারা আগে ছিলেন, যারা আপনার প্রতিনিধি ছিলেন – আপনার আগমনের জন্য এটিকে পাহারা দিয়েছেন এবং সংরক্ষণ করেছেন। রাজা ইটজকোয়াটল, মক্টেজুমা দ্য এল্ডার, আশাইয়াকাটল, টিযোক এবং আহুইটযোটল টেনোচটিটলান শহর আপনার জন্য শাসন করেছিলেন। জনগণ তাঁদের তলোয়ার দ্বারা সুরক্ষিত ছিল এবং তাঁদের ঢাল ছিল জনগণের আশ্রয়।

রাজারা কি জানতেন যে, তাঁরা তাঁদের উত্তরসূরিদের ভাগ্যে কী রেখে গিয়েছিলেন? তাঁরা যদি দেখতেন! আমি যা দেখেছি, তাঁরা যদি তা দেখতে পেতেন!

না, এটা স্বপ্ন নয়। আমি ঘুমের মধ্যে হাঁটছি না। আমি স্বপ্নে আপনাকে দেখছি না। ...আমি আপনাকে শেষপর্যন্ত দেখেছি। আমি আপনাকে সামনাসামনি দেখেছি! আমি পাঁচ বছর আর দশ দিন যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম, আমার চোখ রহস্যের অঞ্চলে স্থির ছিল; এবং এখন আপনি মেঘ ও কুয়াশা থেকে বেরিয়ে এসে আবার আপনার সিংহাসনে বসতে এসেছেন।

এটি রাজাদের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, যারা আপনার শহরকে শাসন করেছিলেন এবং এখন তা ঘটেছে। আপনি আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন; আপনি আকাশ থেকে নেমে এসেছেন। এখন বিশ্রাম নিন এবং আপনার রাজকীয় বাড়িগুলোর দখল নিন। আপনার দেশে আপনাকে স্বাগতম, হে আমার প্রভু!”

মক্টেজুমা কর্টেসকে দেবতা কুয়েটজাকোয়াটল ভেবেছিলেন বলেই কি স্প্যানিশ বাহিনী খুব সহজে মেসোআমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুপরিচিত অ্যাজটেক সাম্রাজ্যকে পরাজিত করতে পেরেছিলেন? কিংবা মক্টেজুমা কি আদৌ কর্টেসকে দেবতা ভেবেছিলেন? এই অ্যাজটেক সাম্রাজ্য কি সত্যিকার অর্থে কোনো সাম্রাজ্য ছিল? অ্যাজটেকরা কারা ছিলেন? তাঁরা আর মেশিহ্‌কা কি একই জাতি? কোথা থেকে কীভাবে অভিবাসন করে তাঁরা মধ্য মেক্সিকোয় এসেছিলেন? একটি আধা বর্বর এবং যাযাবর জাতি কীভাবে তৎকালীন বিশ্বের সেরা শহর টেনোচটিটলান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? আর কেনই বা তাঁরা মানব বলিদানের মতো প্রথা অতি সম্মান ও উৎসাহের সাথে মেনে চলেছিলেন? কীভাবে অ্যাজটেক সমাজে চারটি সূর্য সৃষ্টি হয়ে আবার ধ্বংস হয়েছিল? কারা ছিলেন তাঁদের দেবতা? এরকম আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই গ্রন্থ ‘অ্যাজটেক মিথলজি – আদি থেকে অন্ত’। একবার যে গ্রন্থের ভিতরে প্রবেশ করবেন, পুরাণের সেই রাজ্য থেকে বের হয়ে আসা হবে তাঁর জন্য বিশাল এক কঠিন কাজ, সেই রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য আপনি প্রস্তুত তো?

এস এম নিয়াজ মাওলা সম্পর্কে

এস এম নিয়াজ মাওলা। পেশায় একজন চিকিৎসক আর নেশায় একজন নবীন কথা সাহিত্যিক। পেশাগত জীবনটাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেয়। এই পেশাগত জীবনের টানেই ছোটবেলা থেকে এত পড়াশুনা করে, এত এত ডিগ্রী নিয়ে একটা পর্যায়ে এসে মানুষ থিতু হয়। ক্যারিয়ার চলতে থাকে আপন গতিতে। সময়টাও চলতে থাকে নিজের মতো করে। ব্যাপারটায় কেমন একটা বাধ্যবাধকতার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই না? পেশাগত জীবনটাকে চাবি দিয়ে ঠিকঠাক না রাখলে পুরো জীবনটাই তছনছ হবার পথে চলে যায়। অথচ এই জীবনটাকে ঠিক রাখতে মনের খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়! নিয়াজ ভাইয়ের এই মনের খোরাক হচ্ছে লেখালেখি!