Oracle of Amun

জানালা দিয়ে যে মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে, সেটা সিওয়া মরুদ্যানের আমুন রা- এর মন্দির। এটি প্রাচীনকাল থেকেই prediction করার ব্যাপারে খুব বিখ্যাত ছিল। এর একটা উদাহরণ ছিল ইউবোটাস।
 
প্রাচীন সাইরিনি শহরের বিখ্যাত অ্যাথলিট ইউবোটাস একদিন মরুভূমির পথ ধরে সিওয়া মরুদ্যানে পৌঁছালেন, যেখানে মহান আমুন রার ওরাকল মন্দির বিরাজ করছিল। সূর্যের তাপে দগ্ধ এবং দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে, তিনি মন্দিরে প্রবেশ করলেন। পবিত্র পুরোহিতরা তাকে স্বাগত জানালেন। ইউবোটাসের হৃদয় ধড়ফড় করতে থাকে, কারণ তিনি জানতেন আমুন রার বাণী তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।
পরদিন ভোরে, পুরোহিতরা ইউবোটাসকে পবিত্র কক্ষে নিয়ে গেলেন যেখানে আমুন রার মহাশক্তি বিরাজমান। ধূপের সুগন্ধি ও মন্ত্রোচ্চারণের মাঝে, ওরাকলের মাধ্যমে আমুন রা তাকে আশীর্বাদ করলেন এবং ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে তিনি অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতবেন। ইউবোটাস এতোটাই বিশ্বাস করেছিলেন এই ভবিষ্যদ্বাণী, তিনি অলিম্পিয়াডে নিজের স্টাচু বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
 
দৌড়ে ইউবোটাস জিতেছিলেন!
 
এই সেই মন্দির, যেখানে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তিনি দেবতার পুত্র। আলেকজান্ডার এরপর দ্রুত মেম্ফিসে ফিরে গিয়ে মিশরীয়দের মতো করে নিজেকে ফারাও ঘোষণা করেছিলেন।
 
 
 

এস এম নিয়াজ মাওলা সম্পর্কে

এস এম নিয়াজ মাওলা। পেশায় একজন চিকিৎসক আর নেশায় একজন নবীন কথা সাহিত্যিক। পেশাগত জীবনটাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেয়। এই পেশাগত জীবনের টানেই ছোটবেলা থেকে এত পড়াশুনা করে, এত এত ডিগ্রী নিয়ে একটা পর্যায়ে এসে মানুষ থিতু হয়। ক্যারিয়ার চলতে থাকে আপন গতিতে। সময়টাও চলতে থাকে নিজের মতো করে। ব্যাপারটায় কেমন একটা বাধ্যবাধকতার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই না? পেশাগত জীবনটাকে চাবি দিয়ে ঠিকঠাক না রাখলে পুরো জীবনটাই তছনছ হবার পথে চলে যায়। অথচ এই জীবনটাকে ঠিক রাখতে মনের খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়! নিয়াজ ভাইয়ের এই মনের খোরাক হচ্ছে লেখালেখি!