ক্লিওপেট্রার স্নানাগার বা স্প্রিং

ক্লিওপেট্রার স্নানাগার বা স্প্রিং
 
এই স্নানাগারটি ক্লিওপেট্রার স্নানাগার নামে পরিচিত। এটি আসলে একটি গরম পানির প্রাকৃতিক আধার। এটি দুটি কারণে বিখ্যাত -
 
🔺 একটা হচ্ছে নামের কারণে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি ক্লিওপেট্রা সিয়াতে এসেছিলেন কি না, তবে দুটি স্টেলাতে দেখা যায় তিনি সিয়ার আমুন রা মন্দিরে নিবেদন পাঠিয়েছিলেন।
 
🔺 দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, আমুন রার বড় এবং দ্বিতীয় মন্দিরের পানির উৎসের জন্য একটি জলাধার ছিল বলে ধারণা করা হত। সেই জলাধারটির নাম ছিল সূর্য দেবতার স্প্রিং। সাম্প্রতিককালে এই ধারণাটা বেড়েছে যে, ক্লিওপেট্রার স্প্রিংটা "স্প্রিং অব সান"। কিন্তু এর বিরোধিতাকারীদের যুক্তি হচ্ছে এটি আমুন রার মন্দির থেকে ৮০০ মিটার দূরে। আমুন রার মন্দিরের আরো নিকটে একটি টিলা আছে। ঐটা খনন করলে আসল স্প্রিংটা পাওয়া যাবে। এখনও সেখানে খনন কাজ শুরু হয়নি।
 
এই স্প্রিং এর পানির তাপমাত্রা সবসময় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাই কেউ গরমকালে নামলে ঠান্ডা মনে হবে; শীতকালে নামলে গরম মনে হবে।
 
যেহেতু কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি এটাতে ক্লিওপেট্রা গোসল করেছিলেন কি না, আর যেহেতু আজ রাতেই আমি আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করব, তাই পূর্বে প্ল্যান থাকলেও আমি ক্লিওপেট্রার স্প্রিং এ নিজেকে ভাসাইনি!
 

এস এম নিয়াজ মাওলা সম্পর্কে

এস এম নিয়াজ মাওলা। পেশায় একজন চিকিৎসক আর নেশায় একজন নবীন কথা সাহিত্যিক। পেশাগত জীবনটাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেয়। এই পেশাগত জীবনের টানেই ছোটবেলা থেকে এত পড়াশুনা করে, এত এত ডিগ্রী নিয়ে একটা পর্যায়ে এসে মানুষ থিতু হয়। ক্যারিয়ার চলতে থাকে আপন গতিতে। সময়টাও চলতে থাকে নিজের মতো করে। ব্যাপারটায় কেমন একটা বাধ্যবাধকতার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই না? পেশাগত জীবনটাকে চাবি দিয়ে ঠিকঠাক না রাখলে পুরো জীবনটাই তছনছ হবার পথে চলে যায়। অথচ এই জীবনটাকে ঠিক রাখতে মনের খোরাকের ব্যবস্থাও করতে হয়! নিয়াজ ভাইয়ের এই মনের খোরাক হচ্ছে লেখালেখি!